“ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো/ জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলো ধরিএীরে’’– সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘শ্যামা পূজা ও দীপাবলি’ উৎসব। শাস্ত্রমতে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে দীপান্বিতা পার্বণ শ্রাদ্ধ ও শ্যামা পূজা করা হয়।
প্রতি বছরই দুর্গাপূজার আনন্দ-উচ্ছ্বাস মিইয়ে যাবার আগেই দীপাবলি আসে। বিজয়ার ভাসানে পাঁচদিনের আনন্দ বিদায়ে অবচেতনে হলেও যে বিয়োগবিধুর চেতনায় আবিষ্ট হয় মন, সেই মন দীপাবলিকে সামনে রেখেই আবার আনন্দের স্বপ্ন দেখে। শ্যামা দেবী হলো শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতীক। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভক্তের জীবনে অবারিত কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে ধরনীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার।

অধিবাসের মাধ্যমে শ্যামাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পুস্পাঞ্জলি এবং ষোড়শ উপচারে দেবী কালির পূজার মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে কল্যাণের শক্তি লাভ করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর পর সনাতনী হিন্দুরা শ্যামা পূজা উদযাপনের জন্য মন্দিরে সমবেত হয়।
আটলান্টিক কাউন্টির সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে- প্রাণে ও ঘরে ঘরে উৎসাহ- উদ্দীপনা, আনন্দ- উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো ।ঐদিন ঢাক-ঢোল, কাঁসর আর উলুধ্বনিতে মুখরিত ছিল মন্দির প্রাঙ্গণ। ভক্তকুলের মহাপ্রসাদ আস্বাদনের মাধ্যমে শ্যামা পূজার কর্মসূচী শেষ হয়।
শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে প্রবাসী সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের বাড়িতে বাড়িতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে।প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মধ্যে এই ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছিল।